মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে হয়রানির অভিযোগ টাঙ্গাইল সিআইডি মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: মনগড়া ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল সিআইডি অফিসের উপ পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে যাহার বিপি নং (৭৮৯ ৮০ ৩৯ ৭৫ ৪)
জানাযায়, বাদী কাউছার মাহমুদ ও বিবাদী নজরুল ইসলাম এলাকার পাশাপাশি এবং টাঙ্গাইল সদর থানার বিন্যাফৈর বাজারে বাদীর স,মিল ও বিবাদী ফেক্সিলোডের দোকান পাশাপাশি হওয়ায় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাদী-বিবাদী এর কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা হাওলাত নেয়। সে ক্ষেত্রে বাদী-বিবাদী কে লাভাংশ হিসেবে ৩৫ হাজার টাকা দামে walton এলইডি টেলিভিশন কিনে দেন যাতে বাদী বিবাদী টাকা কয়েক মাসে পরে ফেরত প্রদান করবে। কিন্তু কিছুদিন যেতেই দুজনের মধ্যে মন মালেন হয়। এরই সুযোগে বিবাদী বাদীর ডয়ার থেকে ডাচ বাংলা অসাক্ষরিত ব্ল্যাংক চেক চুরি করে অসৎ উপায়ে লাভবান হওয়ার জন্য নিজের ইচ্ছামত ৭ লক্ষ ৩০ হাজার এমাউন্ট বসিয়ে এবং ভূয়া স্বাক্ষর করে ব্যাংকে দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষর অমিল এর সুবাদে চেকটি ডিজাইনার হয়। পরবর্তীতে বাদী এ বিষয়ে জানতে পারলে চেক চুরি ও স্বাক্ষর জালাইতির জন্য বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায় করেন যাহার মামলার নং ১৫৫৯/২০২৩ এদিকে আদালতের আদেশ মোতাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার সিআইডি টাংগাইলকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত মামলাটি তদন্তের ভার গ্রহণ করেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোশারফ হোসেনের উপর। পরবর্তীতে মামলার বাদী এবং বিবাদী ও সাক্ষীদের তদন্তের সাপেক্ষে ফোনে তাদেরকে সিআইডি অফিসে
আসার কথা বলেন। পরবর্তীতে বাদী ও একজন সাক্ষী নার্গিস আক্তার সত্য ঘটনা জবানবন্দি দেন । কয়েকদিন পর সাক্ষী নার্গিস আক্তার কে পুনরায় সিআইডি অফিসে যেতে বলেন উনি গেলে তার সাথে খারাপ আচরণ করেন ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত না করে বিবাদীর পক্ষে মনগড়া কথা বলেন। পরবর্তীতে বাকি সাক্ষীদের কোন জেরা না করেই বিবাদীর পক্ষে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলা নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে বদলি হলে অবশ্যই সেটা স্বাক্ষর স্পাটের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হয়। কিন্তু এখানেও থেকে যায় ধোঁয়া কুয়াশা সিআইডি বিবাদীর পক্ষে কাজ করার জন্য নিম্ন আদালতে স্বাক্ষর স্পার্ট এর জন্য আবেদন করেন। যেহেতু মামলা উচ্চ আদালতে সেহেতু নিম্ন আদালত স্বাক্ষর স্পার্টারের অর্থাৎ যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনা এই মর্মে আবেদনটি বাতিল করেন।
এদিকে দ্বিতীয় সাক্ষী আক্তার হোসেন জবানবন্দি উল্লেখ্য সিআইডি প্রতিবেদন দেন ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বিষয় তিনি জানেন এবং সাক্ষী হিসেবে ছিলেন এই মর্মে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানিনা, টাকার বিষয়ে আমি কোন কিছু বলিনাই, সিআইডি তদন্তের জন্য আমার কাছে আসে নাই উনি মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন।
অপরদিকে সাক্ষী সুব্রত সূত্রধর জবানবন্দিতে সিআইডি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং চেকের বিষয়ে তিনি জানেন অথচ এ বিষয়ে সুব্রতর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বাদী ও বিবাদী এক লক্ষ টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানি এবং আমি সাক্ষী হিসেবে ছিলাম, ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও চেকের বিষয়ে আমি জানিনা। সিআইডি কেন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে আমি জানিনা, তিনি আরো বলেন বিবাদী ভাই একজন এসআই হয়তো ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।
এ বিষয়ে বিবাদী ভাই আওয়াল মেম্বর সাক্ষী হিসাবে প্রতিবেদনে জবানবন্দি দিয়েছেন যে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বাদীর কাছ থেকে লিখিত নিয়েছেন এবং সাক্ষী হিসেবে উনি ছিলেন এই মর্মে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে আওয়াল নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন স্ট্যাম্প এর বিষয়ে তিনি কোন কিছুই জানেন না ,বিবাদী কিভাবে স্ট্যাম্প পেয়েছে উনিই ভাল জানেন।
এদিকে বাদী কাছে প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিআইডি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনের দুইজন সাক্ষী দিয়েছেনে একজন এক লক্ষ টাকা লেনদেন বিষয়ে জানেন এবং সাক্ষী হিসেবে ছিলেন। তাদের নামে মিথ্যা প্রতিবেদন উল্লেখ করেছেন। সিআইডি চাহিদা মত টাকা দিতে না পারায় উনি বিবাদীর কাছ থেকে টাকা খেয়ে মনগড়া মিথ্যা প্রতিবেদন উল্লেখ করেছেন, ভূয়া স্টাম্প তৈরি করে বিবাদী নজরুল ইসলাম সিআইডিকে দিয়েছেন। পুনরায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবি জানান তিনি। মিথ্যা প্রতিবেদন কারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ।
এ বিষয়ে সিআইডি তদন্তকারী অফিসার মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাদী ও বিবাদী এবং সাক্ষী দুজনই এখানে এসেছিলেন।
বাকি সাক্ষীদের কাছে যাওয়া হয়নি। সাক্ষীগন যোগাযোগ করেনি বিধায় আমার মত প্রতিবেদন দিয়েছি, তবে ঘটনাস্থলে আমার যাওয়া উচিত ছিল সঠিক তদন্তে জন্য । তিনি আরো বলেন এই প্রতিবেদন সঠিক হয়নি এই মর্মে বাদীকে আদালতে’ না’ রাজী দিতে বলেন।
ন্যায় আর সত্যের জয় সব সময় হয় কিন্তু প্রশাসনিক আইন ব্যবস্থা যদি এরকম হয় তাহলে দেশ ও জাতি কি পাবে।
মিথ্যা প্রতিবেদনকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবে।