সিআইডি পুলিশের মিথ্যা প্রতিবেদন হয়রানি যুবক

লিড নিউজ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে সিআইডি পুলিশের মিথ্যা প্রতিবেদন হয়রানির শিকার হয়েছে মাসুদ কাউসার নামে এক যুবক।অপরদিকে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিতে বলেন সিআইডি অফিসের উপ পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন।

জানাযায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বিন্যাফৈর গ্রামের মাসুদ কাউসার একই গ্রামের নজরুল ইসলামের নামে ব্যাংক চেকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলার নং ১৫৫৯/২০২৩। মামলায় উল্লেখ থাকে যে বাদি বিবাদীর সাথে একসময় মিলমহব্বত থাকে। সেই সুযোগে বিবাদী বাদীর অসাক্ষরিত চেক চুরি করে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা চেকে বসিয়ে নেন।

বাদী মাসুদ বলেন,মামলাটি তদন্তের ভার গ্রহণ করেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোশারফ হোসেন। মামলার বাদী এবং বিবাদী ও সাক্ষীদের তদন্তের সাপেক্ষে ফোনে তাদেরকে সিআইডি অফিসে আসার কথা বলেন। পরবর্তীতে বাদী ও একজন সাক্ষী নার্গিস আক্তার সত্য ঘটনা জবানবন্দি দেন তার কাছে ‌। কয়েকদিন পর সাক্ষী নার্গিস আক্তার কে পুনরায় সিআইডি অফিসে যেতে বলেন। সেখানে তিনি গেলে তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। ভূয়া স্টাম্প তৈরি করে বিবাদী দাখিল করেছেন। পরবর্তীতে বাকি সাক্ষীদের কোন জেরা না করেই বিবাদীর পক্ষে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এদিকে দ্বিতীয় সাক্ষী আক্তার হোসেন জবানবন্দি উল্লেখ্য সিআইডি প্রতিবেদন দেন ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বিষয় তিনি জানেন এবং সাক্ষী হিসেবে ছিলেন এই মর্মে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানিনা, টাকার বিষয়ে আমি কোন কিছু বলি নাই, সিআইডি তদন্তের জন্য আমার কাছে আসে নাই উনি মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন।

অপরদিকে সাক্ষী সুব্রত সূত্রধর জবানবন্দিতে সিআইডি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং চেকের বিষয়ে তিনি জানেন অথচ এ বিষয়ে সুব্রতর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বাদী ও বিবাদী এক লক্ষ টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানি এবং আমি সাক্ষী হিসেবে ছিলাম, ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও চেকের বিষয়ে আমি জানিনা। সিআইডি কেন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে আমি জানিনা, তিনি আরো বলেন বিবাদী ভাই একজন এসআই হয়তো ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।

এ বিষয়ে বিবাদী ভাই আওয়াল মেম্বর সাক্ষী হিসাবে প্রতিবেদনে জবানবন্দি দিয়েছেন যে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বাদীর কাছ থেকে লিখিত নিয়েছেন এবং সাক্ষী হিসেবে উনি ছিলেন এই মর্মে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে আওয়াল নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন স্ট্যাম্প এর বিষয়ে তিনি কোন কিছুই জানেন না ,বিবাদী কিভাবে স্ট্যাম্প পেয়েছে উনিই ভাল জানেন।

এ বিষয়ে সিআইডি তদন্তকারী অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, মামলার রিপোট যার বিপক্ষে যায় তিনি স্বাভাবিকভাবেই মনে করেন রির্পোট সঠিক হয়নি। তিনি আরো বলেন বাদীর রির্পোট মনমত না হলে নারাজি দেওয়ার সুযোগ আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *